যশোর শহরের বড় বাজারে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানতে ব্যাপক অনাগ্রহ রয়েছে। অনেকের মুখেই মাস্ক নেই। সামাজিক দূরত্বও মেনে চলার বালাই নেই। এ অবস্থায় করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় বড় বাজার খোলা স্থানে সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
যশোর শহরের বড় বাজারে মাংস, মাছ, সবজি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির কয়েক শ দোকান রয়েছে। যশোর পুরোনো শহর হওয়ায় বাজারের ভেতরের রাস্তাগুলো অত্যন্ত সরু। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয় এই বাজারে।
আজ বুধবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, বড় বাজারের রাস্তাগুলোতে ব্যাপক ভিড়। ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের বেশির ভাগের মুখে মাস্ক নেই। দোকানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। প্রতিটা দোকানের সামনে জটলা। অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করছে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, শহরের ভেতরে হাট কর্তৃপক্ষ হচ্ছে পৌরসভা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজার পরিচালনা বিষয়ে মাসখানেক আগে পৌরসভার মেয়রের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁকে বিষয়টা দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু এ বিষয়ে পৌরসভার তেমন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজার পরিচালনা হচ্ছে না কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে পৌরসভার মেয়র হায়দার গণি খান বলেন, ‘বড় বাজার থেকে সবজি ও মাছের বাজার ফাঁকা মাঠের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাজারের ভেতরে সব রাস্তা যাতে ফাঁকা থাকে, সে বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। পৌরসভার একজন কাউন্সিলর ওই হাটের ইজারাদার। তাঁকে ইতিমধ্যে বাজার সরিয়ে ফাঁকা জায়গায় নেওয়ার জন্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেটা আজ রাতেই আমরা করতে চাই।’
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ফিরেছেন ৭০ জন
এদিকে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আজ ৭০ জন দেশে ফিরেছেন। তাঁদের মধ্যে একজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এবং অন্যদের বেনাপোল ও যশোর শহরের আবাসিক হোটেল এবং ঝিকরগাছা উপজেলার গাজীর দরগা মাদ্রাসায় ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
0 Comments