বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদতবার্ষিকীর আলোচনা সভায় নিজেদের মধ্যে বিবাদে জড়িয়েছে ছাত্রদল। বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ ঘটনা ঘটে।
এতে কেউ হতাহত না হলেও ২০ থেকে ৩০টি চেয়ার ভেঙে গেছে বলে প্রেসক্লাবের কর্মীরা জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা জানান, সভাকালে সামনে বসা নেতা-কর্মীরা প্রায়ই স্লোগান দিতে দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলেন। এতে পেছনে বসা নেতা-কর্মীদের অসুবিধা হওয়ায় সামনের কর্মীদের বসতে বলা হয়। এ নিয়ে তর্কের জেরে কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ মাহমুদ ও ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি মিজানুর রহমানের অনুসারীরা একে অপরের ওপর চড়াও হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিবাদের সময় একে অপরের দিকে চেয়ার ছুড়ে মারেন। এতে মিলনায়তনে বসা অন্য নেতা–কর্মীরা ছোটাছুটি শুরু করেন। ১৫ মিনিটের ব্যবধানে তিনবার দুই পক্ষের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। পরে দুই পক্ষের জ্যেষ্ঠ নেতারা অনুসারীদের নিয়ে মিলনায়তন থেকে বেরিয়ে আসেন। একপর্যায়ে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের জ্যেষ্ঠ নেতা-কর্মীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় প্রেসক্লাবের বাইরে পুলিশ সতর্ক অবস্থায় ছিল।
প্রেসক্লাবের দায়িত্বরত কর্মচারীরা জানান, ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের চড়াওয়ের ঘটনায় ওই মিলনায়তনে ২০ থেকে ৩০টি চেয়ার ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গেছে। ঘটনার সময় বাইরে বের হতে গিয়ে একদল নেতা-কর্মী মিলনায়তনের একটি দরজাও খুলে ফেলেন।
কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ মাহমুদ অভিযোগ অস্বীকার করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখানে আমার কোনো অনুসারী ছিল না। আমি কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে কর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করছিলাম। ছাত্রদলে এখন কোনো গ্রুপিং নেই।’
ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি মিজানুর রহমানের বক্তব্য জানার জন্য একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
0 Comments